শায়খ আহমাদুল্লাহ আরো বলেন, সারা বছর ভালো থাকার জন্য প্রকৃতির পূজারিরা বছরের প্রথম দিন মেতে উঠত আনন্দ উৎসবে । অথচ আজকের বিজ্ঞানমনস্করা সেই অবান্তর উৎসবকে ধুমধাম করে পালন করতে সবচেয়ে উৎসাহী। থার্টিফার্স্ট নাইট এদেশের মাটি থেকে উৎসারিত কোনো সংস্কৃতি নয়। এটা বিদেশ থেকে আমদানি করা এক ধরনের উন্মাদনা বৈ কি।
দুর্ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে এই উন্মাদনায় বলি হয়েছে শিশু উমায়ের। সর্বস্ব দিয়ে গড়ে তোলা এক বোনের প্লাস্টিক কারখানা ধ্বংস হয়েছে। শত শত পাখি ও কুকুর-বিড়ালের জীবন বিপন্ন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বর্ষবরণের নামে আমদানি করা এই অনাচার ও অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে উপরের ঘটনাগুলোই কি যথেষ্ট নয়?
তবে আশার খবর হলো, সরকার এ বছর ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও কেউ যদি এই অনাচার করতে চায়, তবে প্রত্যেক এলাকার দায়িত্বশীল বিবেকবান মানুষের এই অনাচার বন্ধে সামাজিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
0 মন্তব্যসমূহ